ছাতকে কিশোরীকে হাত,পা বেঁধে নির্যাতন 

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ২০:০৩

সুনামগঞ্জের ছাতকে এক কিশোরীকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগউঠেছে।

এ ঘটনায় গ্রাম্য বিচারক ধর্ষনকারী ফয়জুল হককে তার মাথা চুল কর্তন ও জুতার মালা পড়িয়ে শাস্তি দিয়ে কিশোরী নির্যাতিত ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা করছেন গ্রামবাসী। এ ঘটনার খবর পেয়ে বৃহ¯িপতবার  বিকালে নির্যাতিত কিশোরীকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার মুলহোতাকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেন। 

এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত বুধবার দিনে দুপুরে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির মুলতানপুর গ্রামের দিনমজুর বোরহান উদ্দিনের কিশোরী কন্যা তার বাড়িতে একা ছিলেন। এ সময় তার বাবা মা ঘরে ছিলেন না । এ সুযোগে তার বসত ঘরে প্রবেশ করেন একই গ্রামে মৃত সুলেমান আলীর পুত্র ফয়জুল হক । পরে কিশোরীকে ঝাপটা মরে ধরেই কাপড় দিয়ে তার চোখ মুখ হাত-পা বেঁধে কাঠে ফেল দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেছে নরপশু জানোয়ার। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউপির মুলতানপুর গ্রামের দিনমজুর বোরহান উদ্দিনর বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহ¯িপতবার সকালে মুলতাল পুর গ্রামের ফুল মিয়ার বাড়িত এক শালিস বৈঠক অনুষ্টিত হয়। শান্তিগঞ্জ উপেজলার আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত বৈঠকের বক্তব্য রাখেন,মাসুক মিয়া,জয়নাল উদ্দিন,কদর মিয়া,আব্দুস সালাম,ফরিদ উদ্দিন মাওলানা আমির আলী,আশিক মিয়া মতিউর রহমান প্রমুখ।

এ বৈঠেক গ্রাম্য বিচারকরা ধর্ষিতা কিশোরীর বিচার হচ্ছে ধষনকারীকে ফয়জুল হক ৪০কে তার মাথার চুল কতন, ও জুতামালা পড়িয়ে শাস্তি দিয়ে কিশোরীর নির্যাতিত এ ঘটনা নি¯পতি করেছেন শালিশকারীরা।

এ ঘটনার খবর পয়ে থানা ওসি মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির ও জাউয়াবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ মোহাম্মদ আহমদ উল্লাহ ভুইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামীর বাড়িতে অভিযান চালায়। নির্যাতিত  কিশোরীকে গ্রামের বিচারকদের কবল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশের টের পেয়ে আসামী ফয়জুল হক বাড়ি ঘর ছেড়ে আতœগোপেন পালিয়ে যায়। কিশোরী নির্যাতিত মা সুলতানা বেগম কান্না জিড়ত কেন্ঠ বেলন,গত বুধবার রাত তার মা অসুস্ত খবর পেয়ে তার বাপের বাড়িতে চলে যান। তার মেয়েকে বাড়িতে একা ছিলো। তার ঘরে ঢুকে কাপড় দিয়ে তার মেয়ের মুখ ও হাত-পা বেঁধে ঘরে মধ্যে ফেলে খারাপ কাজ করে পালিয়ে যায়।

শালিসকারী তার বক্তব্য নেয়নি। সিলেটের ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশারীর নির্যাতিত প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এব্যাপারে ওসি মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিশারীকে উদ্ধার, মামলা দায়ের প্রস্তুতি ও আসামী গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। 

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/তানভীর হাসান

এই বিভাগের আরো সংবাদ